সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক, ষান্মাষিক মিলে বর্তমানে দেশে প্রায় দুই হাজার ৮০০টি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম আখতার জাহানের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণমাধ্যমবান্ধব। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণ তথা গণমাধ্যমের বিকাশে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। উভয় গণমাধ্যম মুখর (ভাইব্রেন্ট) খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের বিগত সাত বছরের অধিক সময়ে সাত শতাধিক পত্রিকার নিবন্ধন প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি মালিকানায় ৩১টি স্যাটেলাইট চ্যানেল, ২৪টি এফ, এম বেতার এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি তিনটি টেলিভিশন চ্যানেলের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৬টি টেলিভিশন চ্যানেল, ২১টি এফ. এম বেতার এবং ১৭টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’ হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সংবাদপত্র ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য সরকার ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করেছে। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার সংবাদপত্রের যথাযথ বিকাশ ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘দ্য প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স (ডিক্লারেশন এন্ড রেজিস্ট্রেশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ ও দ্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেছে।’ ইনু বলেন, ‘বেসরকারি মালিকানায় এফ. এম বেতার ও কমিউনিটি রেডিও স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সরকার যথাক্রমে ‘বেসরকারি মালিকানায় এফ. এম বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১০’ এবং ‘কমিউনিটি রেডিও স্থাপন, সম্প্রচার ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০০৮’ প্রণয়ন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিউিট বর্তমান সরকারের বিগত সাত বছরের অধিক সময়ে ১৬ হাজার একজন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অপরদিকে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট একই সময়ে দুই হাজার ২৫৫ জন সাংবাদিককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য একটি দায়বদ্ধ ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত পরিমার্জন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’